ডাঃ ব্রহ্মদীপ সিন্ধু বলেছিলেন যে মৃগী রোগ নিরাময় করা খুব কঠিন। এর চিকিৎসাটি কিছুটা দীর্ঘ হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি কেবল চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্বারা সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, গত দশ বছরে ফরিদাবাদ জেলায় মৃগী রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে, মৃগী সম্পর্কে লোকদের মধ্যে প্রচুর সচেতনতা বেড়েছে। এখন রোগীরা নিজেরাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছে।
সময়মতো চিকিৎসা করুন, শীঘ্রই স্বস্তি পান
মেট্রো হাসপাতালের সিনিয়র নিউরোলজিস্ট ডাঃ রোহিত গুপ্ত বলেছিলেন, মৃগী রোগ দুই প্রকার। কিছু রোগীর মস্তিষ্কের এক অংশে ব্যথা হয়, আবার কিছু রোগীর পুরো মস্তিষ্কে ব্যথা হয়। যদি রোগীর সময়মতো চিকিৎসা করা হয় তবে ২-৩ বছর ওষুধ খেয়ে এটা নিরাময় করা যায়। ২০-৩০ শতাংশ রোগীদের সারা জীবন ওষুধ খেতে হয়। ১০-২০ শতাংশ রোগীদের অপারেশন করতে হয়। কিউআরজি হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ডাঃ নাজিব উর রেহমান বলেছেন, রোগের ভুল তথ্য উপেক্ষা করে জনগণকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। রোগীর তার অবস্থা চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে গোপন করা উচিত নয়। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।
মৃগীরোগের লক্ষণ
– কথা বলার সময় মস্তিষ্কের স্পষ্টতা, হঠাৎ পেশীগুলি টান লাগা।
-চোখে সমস্যা হওয়া।
-হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
– হঠাৎ পেশীগুলির নিয়ন্ত্রণ শক্তি হারিয়ে যায়।
মৃগী রোগের প্রধান কারণগুলি
– মাথায় আঘাত, মস্তিষ্কের গরমথাকা।
-মস্তিষ্কের টিউমার এবং মস্তিষ্কের স্ট্রোক।
– অ্যালকোহল বা ড্রাগের অতিরিক্ত ব্যবহার।
– আক্রমণ হওয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে নিরাপদ স্থানে রাখুন।
-পাশে শুয়ে থাকুন।
– জামা আলগা করে দিন।
-খোলা বাতাসে রাখুন এবং চারপাশে ভিড় করবেন না।
– মাথার নীচে একটি নরম কাপড় রাখুন।
– পরিদর্শনকালে রোগীর মুখে কিছু রাখবেন না।
কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় তা জেনে নিন ডঃ রজনীশ কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে মৃগী বেশিরভাগ যৌবনে দেখা যায়। মৃগীরোগ পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে, কাঁচা শাকসবজি এড়িয়ে, পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া ইত্যাদি করে রোগ নিরাময় করা যায়।
Leave a reply