রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট আইনজীবী, শীর্ষ শিল্পপতিসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় এক টেকপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ভারতীয় এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
তদন্তে বলা হয়, এপিন নামে ভারতীয় টেকপ্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার জন্যেও কাজ করে থাকে। প্রতিবেদনে জানা যায়, শিনকক কেলেঙ্কারির সময় তদন্তকারী সংস্থার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করেছিল।
ভারতসহ সারা বিশ্বেই অনুমতি ছাড়া কারো কম্পিউটারের তথ্য দেখা বা সংগ্রহ করাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জানা যায় প্রতিষ্ঠানটি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি, ইমেইল মনিটরিং ও সাইবার যুদ্ধ পরিচালনা করে থাকে।
রজত ও অনুজ নামে দুই সহোদরের প্রতিষ্ঠিত এই ছোট স্টার্টাপটি আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের ব্যবসা শুরু করে। যারা তরুণ প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হ্যাকিং এ প্রশিক্ষিত করতো। এর কিছুদিনের মধ্যেই এ সেক্টরে তারা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলে।
এপিন সম্পর্কে ডোমিনিকান রিপাবলিকের প্রাক্তন সংবাদ প্রকাশক জোচি গোমেজ সবচেয়ে ভালো রিভিউ দিয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘এপিন আমার দেখা সবচেয়ে সংগঠিত একটি প্রতিষ্ঠান।’ তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে ক্যারিবিয়ান অভিজাত নেতা ও খনি ব্যবসায়ীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে প্রতি মাসে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার প্রদান করতো।
ভারতের বিভিন্ন সাইবার প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এপিন সম্পর্কে অবগতের কথা শিকার করলেও, হ্যাকিং এ তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকেই অবৈধ কাজে হ্যাকিং ব্যবহৃত হতো। ফলে হ্যাকিংকে কেউই সরাসরি স্বীকার করত না। তবে এপিন হ্যাকিংকে একটি বৈধ ব্যবসায় রূপান্তর করেছে।
Leave a reply