ঐশ্বর্যা তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের একজোড়া ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে।
এক দিকে বলি অভিনেত্রী, অন্য দিকে বিশ্বসুন্দরী। বিয়ের পর বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূর তকমাও যোগ দিয়েছে। এক সময় হিন্দি চলচ্চিত্রজগতকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। সফল হয়েছেন হলিউডেও। তবে কেরিয়ারের ঝুলি থেকে সফল ছবি বাদ দিতেও পিছপা হননি ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
ঐশ্বর্যার কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস’, ‘দ্য লাস্ট লিজিয়ন’, ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২’-এর মতো একাধিক ইংরেজি ছবি। ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিস্ট্রেস অফ এভিল’ নামের একটি ছবিতে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নেপথ্যকণ্ঠও ছিলেন ঐশ্বর্যা। তবে কেন হলিউডের দুই সফল ছবিতে অভিনয় করলেন না তিনি?
২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসের্স স্মিথ’। এই ছবিতে ব্র্যাড পিটের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। বলিপাড়া সূত্রে খবর, এই ছবিতে ব্র্যাডের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঐশ্বর্যাকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। ঐশ্বর্যা প্রস্তাব খারিজ করলে অভিনয়ে রাজি হন অ্যাঞ্জেলিনা।
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, ঐশ্বর্যা নাকি স্বেচ্ছায় ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয় করতে চাননি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ব্র্যাডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হত ঐশ্বর্যাকে।
ব্র্যাডের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে ইতস্তত বোধ করেছিলেন নায়িকা। তাই তিনি চিত্রনাট্যের খসড়া পড়ার পরেই ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হ্যানকক’। অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন উইল স্মিথ। স্মিথের বিপরীতে এই ছবিতে নাকি অভিনয় করার কথা ছিল ঐশ্বর্যার। বলি নায়িকা এই ছবির প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘হ্যানকক’-এর চিত্রনাট্য অনুযায়ী স্মিথকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চুমু খেতে হত ঐশ্বর্যাকে। সেই সময় অভিনেত্রী তাঁর কেরিয়ার গুছিয়ে নিচ্ছেন। কোনও হলি অভিনেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তির কথা জানান তিনি।
‘হ্যানকক’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐশ্বর্যা। তার পর সেই চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন চার্লিজ় থেরন।
ঐশ্বর্যা তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। অথচ দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে।
তবে স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ এক বার হারাননি ঐশ্বর্যা। ‘হ্যানকক’-এর আগেও এক বার স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু অভিনেত্রীর ভাগ্যলিখন ছিল ভিন্ন।
২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হিচ’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। ‘হিচ’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় ঐশ্বর্যাকে।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ঐশ্বর্যাকে যখন ‘হিচ’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন তিনি অন্য ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। হলিউডের এই ছবি শুটিংয়ের জন্য কিছুতেই সময় বার করতে পারেননি নায়িকা।
‘হিচ’ ছবির প্রস্তাব ঐশ্বর্যা ফিরিয়ে দিলে নায়িকার ফিরিয়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করেন হলি অভিনেত্রী ইভা মেন্ডেস। এই ছবিতে ইভার অভিনয় প্রশংসাও পায়।
Post a Comment