সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এলো যুগান্তকারী তথ্য
অল্প বয়সে স্ট্রোকের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এর ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগের প্রধান ডা. লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠী।
বর্তমান পরিস্থিতি
সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে ১৮-৫০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ স্ট্রোকের শিকার হচ্ছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্ট্রোকের প্রকারভেদ
দুই রনের স্ট্রোক:**
1. অক্লুসিভ স্ট্রোক (Occlusive strokes)
- মস্তিষ্কের রক্তনালী অবরুদ্ধ হয়ে ঘটে
- সবচেয়ে বেশি দেখা যায়
2. হেমারেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic stroke)
- মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়
- তুলনামূলক কম দেখা যায়
ঝুঁকির কারণসমূহ
- ডায়াবেটিস
- উচ্চরক্তচাপ
- উচ্চ কোলেস্টেরল
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
- ধূমপান
- স্থূলতা
- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
- অসুষম খাদ্যাভ্যাস
- মানসিক চাপ
FAST টেস্ট: স্ট্রোক শনাক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি
F - Face Drooping (মুখ বেঁকে যাওয়া)**
- মুখের একদিক ঝুলে পড়া
- হাসার সময় মুখের অসমতা
A - Arm Weakness (হাতের দুর্বলতা)**
- হাত উঠাতে অসুবিধা
- একদিকের হাত দুর্বল হয়ে যাওয়া
S -Speech Difficulty (কথা বলার সমস্যা)**
- অস্পষ্ট উচ্চারণ
- কথা বলতে অসুবিধা
T - Time to Call Emergency (জরুরি সাহায্য)**
- অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ
- দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
1. প্রাথমিক পদক্ষেপ:**
- প্রথম ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি
- সিটি স্ক্যান
- রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা
2বিশেষজ্ঞ দল:**
- নিউরোলজিস্ট
- নিউরোসার্জন
- ইন্টারভেনশনিস্ট
- ফিজিওথেরাপিস্ট
3. **চিকিৎসা পদ্ধতি:**
- ওষুধ দ্বারা রক্তের জমাট ভাঙ্গন
- আধুনিক ক্যাথেটার ব্যবহার
- নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন
- স্পিচ থেরাপি
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- সুষম খাদ্যাভ্যাস
- নিয়মিত ব্যায়াম
- ধূমপান বর্জন
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
Post a Comment