২০০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেল, শিক্ষা ও বিবাহ পুরুষদের জীবনকাল বাড়াতে পারে
ডেনমার্কের গবেষকদের একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উচ্চশিক্ষিত ও বিবাহিত পুরুষরা নারীদের তুলনায় দীর্ঘায়ু হতে পারেন। এই আবিষ্কার পূর্ববর্তী ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে নারীরা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন।
বিএমজে ওপেন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ১৯৯টি দেশের প্রায় দুই শতাব্দীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে ২৫-৫০ শতাংশ পুরুষ নারীদের চেয়ে বেশি আয়ু পান, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিবাহিত এবং উচ্চশিক্ষিত।
জীবনধারার প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আয়ুষ্কালের এই পার্থক্য মূলত জীবনধারার বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। ধূমপানের মতো অভ্যাস এবং অন্যান্য জীবনশৈলীগত কারণগুলি এই পার্থক্যের জন্য দায়ী হতে পারে।
ঐতিহাসিক প্রবণতা
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে উন্নত দেশগুলিতে ১৯৭০ সাল থেকে নারীদের তুলনায় পুরুষদের আয়ু বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পুরুষদের স্বাস্থ্য ও জীবনকালের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিবাহ ও শিক্ষার ভূমিকা
গবেষকরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে বিবাহিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী পুরুষরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পান। এই তথ্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে সামাজিক সম্পর্ক ও শিক্ষাগত অর্জন দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই গবেষণার ফলাফল সাধারণীকরণ করা উচিত নয়। তারা জোর দিয়েছেন যে সামগ্রিকভাবে, পুরুষদের আয়ু এখনও নারীদের চেয়ে কম এবং সব বয়সেই পুরুষদের মৃত্যুহার বেশি।
উপসংহার
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য জনস্বাস্থ্য নীতি ও সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে এটি স্পষ্ট যে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, সুস্থ জীবনযাপন ও সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
Post a Comment