সালমান খানের জীবনরক্ষক: শেরার অসাধারণ কাহিনী

 বলিউডের সুপারস্টারের ২৯ বছরের বিশ্বস্ত সঙ্গী




মুম্বই: বলিউডের দুনিয়ায় এক নাম যা শুধু ভক্তদের মুখে মুখে নয়, শিল্পের অন্দরমহলেও সমান শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয় - সেই নাম শেরা। গুরমিত সিং জলি নামে পরিচিত এই ব্যক্তি গত ২৯ বছর ধরে বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের ছায়াসঙ্গী হয়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর ভূমিকা শুধুমাত্র একজন দেহরক্ষীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; তিনি হয়ে উঠেছেন সলমনের পরিবারের একজন।

বলিউডের অন্দরমহলে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে - যতক্ষণ শেরা সলমনের পাশে থাকবেন, ততক্ষণ মৃত্যুও তাঁকে স্পর্শ করতে সাহস পাবে না। এমনকি বলা হয়, শেরা নিজের জীবন বিপন্ন করেও সলমনকে রক্ষা করতে দ্বিধা করবেন না। এই অকুতোভয় মানুষটির প্রতি সলমনের আস্থা এতটাই গভীর যে তিনি তাঁকে 'ভাই' সম্বোধন করেন।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলী:

সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর থেকে সলমন খান অত্যন্ত সতর্ক হয়ে উঠেছেন। তিনি একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনেছেন এবং অতি পরিচিতজন ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নীত করা হয়েছে ওয়াই ক্যাটাগরিতে, যা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এমনকি তাঁর বাসভবনের সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেরার পেশাগত জীবন:

শেরার পেশাগত সাফল্য তাঁর দক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ বহন করে। তিনি মাসিক ১৫ লক্ষ টাকা বেতন পান, যা বার্ষিক প্রায় ২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ২০১১ সালে তিনি সেরা নিরাপত্তাকর্মীর পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁর পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি।

শেরার ব্যবসায়িক উদ্যোগ:

নিজস্ব নিরাপত্তা সংস্থার মালিক হিসেবে শেরা শুধু সলমন খানের নিরাপত্তাতেই সীমাবদ্ধ নন। তাঁর প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক তারকাদের ভারত সফরকালে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পপ সুপারস্টার জাস্টিন বিবারের ভারত সফরেও শেরার দল দায়িত্ব পালন করেছিল।

ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি:

শেরার পেশাগত সাফল্য তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ির মালিক, যা তাঁর আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ বহন করে।

গুরমিত সিং জলি ওরফে শেরার জীবন কাহিনী শুধু একজন দেহরক্ষীর সাফল্যের গল্প নয়, এটি বিশ্বাস, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার এক অনন্য উদাহরণ। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রমাণ করে যে পেশাদারিত্ব ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় সম্ভব। শেরার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় যে, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতা যেকোনো পেশায় সাফল্যের চাবিকাঠি।

Post a Comment