এমবাপ্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

সুইডেনের নৈশ ক্লাবে ঘটনা, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ; পিএসজি'র সাথে বিরোধের প্রেক্ষাপটে অভিযোগ বলে দাবি ফুটবলারের



ফুটবল বিশ্বের অন্যতম তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ - ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন। সুইডেনের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।


ঘটনার বিবরণ:


সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি স্টকহোমের একটি নৈশ ক্লাবে এই ঘটনা ঘটেছে। ফ্রান্সের জাতীয় দল যখন নেশন্স লিগের ম্যাচে ব্যস্ত ছিল, তখন এমবাপ্পেকে নাকি ওই ক্লাবে দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানেই তিনি একজন নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করেন।


পুলিশি তদন্ত:


এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেন পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে তারা জানিয়েছে, এমবাপ্পের বিরুদ্ধে সন্দেহের মাত্রা খুব বেশি নয়। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, "তদন্ত চলমান আছে, এখনও পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মতো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।"


এমবাপ্পের প্রতিক্রিয়া:


এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমবাপ্পে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, "সুইডিশ গণমাধ্যমের সঙ্গে পিএসজি'র যোগসাজশ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।"


পটভূমি:


উল্লেখ্য, সম্প্রতি এমবাপ্পে পিএসজি'র বিরুদ্ধে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বকেয়া বেতনের দাবিতে মামলা করেছেন। তিনি অনুমান করছেন, এই ধর্ষণের অভিযোগ সেই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।


ফুটবল কেরিয়ারে প্রভাব:


এই ঘটনার আগে, এমবাপ্পে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জাতীয় দলে না খেলার কারণে। ক্লাবে ফিরে আসার পরও তাঁকে ফ্রান্সের জাতীয় দলের স্কোয়াডে রাখা হয়নি, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।


২৫ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে। তদন্তের ফলাফল এবং আইনি প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপগুলি নির্ধারণ করবে তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ। ফুটবল বিশ্ব উৎকণ্ঠার সঙ্গে এই ঘটনার পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য করছে।

Post a Comment