বেনাপোল বন্দরে দুই দিনে এসেছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮০টি মুরগির ডিম
বাংলাদেশের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুই দিনে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮০টি মুরগির ডিম দেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানি খরচ ও মূল্য
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুল্কসহ প্রতি হালি (৪টি) ডিমের আমদানি খরচ পড়েছে প্রায় ৮ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে:
- শুল্ক: সাড়ে ৭ টাকা
- গুদাম ভাড়া
- এলসি খরচ
- পরিবহন ব্যয়
আমদানি পরিসংখ্যান
- ৫ অক্টোবর: ১৫ মেট্রিক টন
- ৬ অক্টোবর: ১৫ মেট্রিক টন + ২ লাখ ৩১ হাজার ৪৮০টি ডিম
- ৭ অক্টোবর: বাকি চালান ছাড়ের অপেক্ষায়
আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক
- আমদানিকারক: 'হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন', ঢাকা
- রপ্তানিকারক: 'শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার', ভারত
সরকারি নীতিমালা
বর্তমানে সরকার ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এটি চলতি বছরের দ্বিতীয় চালান। গত বছরের শেষেও ৬১ হাজার ডিমের একটি চালান এসেছিল, যখন ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি ছিল।
বাজার পরিস্থিতি
গত একমাসে ডিমের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় ৪ কোটি।
প্রশাসনিক প্রক্রিয়া
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, পরীক্ষণ শেষে ডিমগুলো বন্দর থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেছেন, ভারতীয় সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
কাস্টমস শুল্ক
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ওথেলো চৌধুরী জানিয়েছেন, ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকার ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও ডিম আমদানির পরিকল্পনা করছে। তবে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
Post a Comment