দুই দশক পর ফিরল জয়! সান মারিনোর ঐতিহাসিক সাফল্য

১৪০ ম্যাচের দীর্ঘ পরাজয়ের পর বিশ্বের সবচেয়ে নিম্নরেটেড ফুটবল দল পেল অবিশ্বাস্য জয়



সান মারিনো, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ - বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশগুলোর একটি সান মারিনো। কিন্তু আজ তারা বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেলল। গত দুই দশকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয়ের স্বাদ পেল এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটি।


উয়েফা নেশন্স লিগের এক ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল সান মারিনো। ২০০৪ সালের পর থেকে টানা ১৪০টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার লজ্জাজনক রেকর্ডেও ছেদ পড়ল এই জয়ের মধ্য দিয়ে।


ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে নিকো সেনসোলির গোলেই এল এই ঐতিহাসিক জয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ মিডফিল্ডার লিখটেনস্টাইনের ডিফেন্ডার সান্দ্রো ওয়েজারের ভুল থেকে সুযোগ পেয়ে জালে বল পাঠান।


ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে নিচের স্থানে থাকা সান মারিনোর এই জয় যে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা বোঝা যায় তাদের পরিসংখ্যান দেখলে। ২০৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে এই দল। বাকি ১৯৬টি ম্যাচেই তারা পরাজিত হয়েছে।


মাত্র ৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি চারদিক থেকে ইতালি দ্বারা বেষ্টিত। জনসংখ্যাও মাত্র ৩৩ হাজার। তুলনায় বলা যায়, এটি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরের অর্ধেকের চেয়েও ছোট।


ম্যাচ শেষে সান মারিনোর স্তাদিও অলিম্পিকোতে ছিল অবর্ণনীয় উল্লাস। অন্যদিকে, ১৯৯ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা লিখটেনস্টাইনের খেলোয়াড়রা মাঠেই লুটিয়ে পড়েন হতাশায়। তাদের নিজেদেরও গত ৪০ ম্যাচে কোনো জয় নেই।


এই জয়ের মাধ্যমে সান মারিনো প্রমাণ করল, ফুটবলে কখনোই হাল ছাড়া উচিত নয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাদের এই জয় নিঃসন্দেহে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। 

Post a Comment