তরুণী চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে সরব হওয়ায় কটূক্তির মুখোমুখি জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
সম্প্রতি আরজিকরে সংঘটিত তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বলিউড ও টলিউডের অনেক শিল্পীই সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে। কিন্তু এই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তোলার জন্য অনেক শিল্পীকেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার শিকার হলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী স্নেহা চ্যাটার্জী।
'কার কাছে কই মনের কথা' সিরিয়ালের বিদিশা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করা স্নেহা, তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি যাদবপুরের ৮-বি বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ভিডিও নিজের ফেসবুক পাতায় শেয়ার করেন। কিন্তু এই পোস্টের কমেন্ট বিভাগে তাঁকে লক্ষ্য করে শুরু হয় কটূক্তির ঝড়।
একজন নেটিজেন স্নেহাকে 'মাওবাদী' আখ্যা দিয়ে হুমকি দেন। তিনি লেখেন, "মাওবাদী এসে গেছে। যেই আগুন জ্বালাচ্ছেন, সেই আগুনেই পুড়বেন। স্বামী তো বহুদিন আগেই ভেগে গেছে এর জন্য।" এই অপমানজনক মন্তব্যের জবাবে স্নেহা প্রশ্ন করেন, "আপনি কত জানেন আমার সম্পর্কে, কত সময়, কত খবর রেখে বেড়ান?"
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ওই একই ব্যক্তি প্রবীণ অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে টেলিভিশন অভিনেতারা নাকি "২ পয়সার পাঠ করেন।" এর প্রতিবাদে স্নেহা তাঁকে প্রশ্ন করেন, "কী ভাবে পেট চললে নাটক হয় না, যদি একটু বলেন। তাহলে তো রোগী দেখে যাদের পেট চলে, তারা সবচেয়ে বড় নাটক করছেন আপনার মতে।"
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তোলার জন্য কীভাবে শিল্পীদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে স্নেহা চ্যাটার্জীর এই অভিজ্ঞতা সমাজের একটি গুরুতর সমস্যার দিকে আঙুল তুলে ধরে। এই ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্যও উদ্বেগজনক।
বিনোদন জগতের তারকারা যখন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কোনো বিষয়ে মত প্রকাশ করেন, তখন তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা সমাজের দায়িত্ব। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
Post a Comment