পরকীয়া প্রেমে জড়িত মহিলাদের প্রবণতা: একটি সমীক্ষার চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামরত মহিলারাই বেশি পরকীয়ায় আসক্ত - বলছে অনলাইন ডেটিং সংস্থার গবেষণা



প্রেম মানুষের জীবনে এক অনিবার্য অধ্যায়। কিন্তু বিবাহিত জীবনেও যখন এই প্রেম আসে, তখন তা হয়ে ওঠে পরকীয়া - একটি সামাজিকভাবে বিতর্কিত বিষয়। সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় পরকীয়া প্রেমে জড়িত মহিলাদের নিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।


কারা বেশি পরকীয়ায় জড়ান?


সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, পরকীয়ায় জড়িত মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক (প্রায় ৫২%) হলেন যারা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন। এরপর রয়েছেন:


১. নিয়মিত সকালে দৌড়ানোর অভ্যাসী মহিলারা

২. প্রতিদিন টেনিস খেলেন এমন মহিলারা

৩. নিয়মিত সাঁতার কাটেন ও সাইকেল চালান যারা


কেন এমন প্রবণতা?


গবেষকরা মনে করেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম শুধু দৈহিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ব্যক্তিকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে, এই ধরনের মহিলারা নিজেদের যৌনজীবনকে আরও আনন্দময় করতে চান বলে মনে করা হয়।


সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মতামত


অধিকাংশ মহিলাই স্বীকার করেছেন যে তাদের যৌনজীবনকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করতেই তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। গবেষণা থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন একই সঙ্গীর সাথে থাকার ফলে যৌনজীবনে একঘেয়েমি আসে। নতুন অনুভূতির খোঁজে মন চায় নতুন স্পর্শ। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এই ইচ্ছাকে আরও প্রবল করে তোলে।


সামাজিক প্রেক্ষাপট


যদিও পরকীয়া প্রেম সামাজিকভাবে অনভিপ্রেত, তবুও এটি চিরকাল ধরেই বিদ্যমান। বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব বা যোগাযোগের অভাব থেকেও অনেক সময় মানুষ পরকীয়া সম্পর্কের দিকে ঝুঁকে পড়ে।


উপসংহার


এই সমীক্ষার ফলাফল থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং যৌনজীবনের উত্তেজনা বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা পরকীয়া প্রেমের একটি প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে। তবে, এই ধরনের সম্পর্কের নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আরও গভীর আলোচনা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

Post a Comment