কাঞ্চন মল্লিকের বন্ধুদের আক্রমণ: স্ত্রী শ্রীময়ীর আবেগঘন প্রতিক্রিয়া

চিকিৎসক মন্তব্য বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ স্বামীর পক্ষে সরব



প্রতিবেদন:


আরজি কর মেডিকেল কলেজে নারী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে চলমান আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন তাঁর স্ত্রী, অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্বামীর পক্ষে সওয়াল করে বলেন, তাঁর বন্ধুরাই এখন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।


চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে কাঞ্চন মল্লিকের মন্তব্যের পর থেকেই চলছে তীব্র সমালোচনা। বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে তাঁকে বয়কটের দাবি। এই পরিস্থিতিতে স্বামীর পক্ষে সরব হয়েছেন শ্রীময়ী।


তিনি বলেন, "কাঞ্চনের মন্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত নই। সম্ভবত সেদিন তার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। তবে সে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে। তা সত্ত্বেও তার তথাকথিত বন্ধুরা যেভাবে তাকে আক্রমণ করছে, তা দেখে আমি বিস্মিত।"


শ্রীময়ী আরও অভিযোগ করেন, "আমার মনে হচ্চে, কাঞ্চনের যারা বন্ধু বলে পরিচয় দেয়, তারাই এখন তার পিঠে ছুরি মারার জন্য উন্মুখ। সমালোচনা করা একটা কথা, কিন্তু এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ কতটা যুক্তিযুক্ত?"


অভিনেত্রী এও দাবি করেন যে আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি চলছে। তিনি বলেন, "শুধু আরজি কর নয়, আমাদের শিল্পেও অনেক আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। তখন কি আমরা কাজ বন্ধ করি? চিকিৎসকদের দায়িত্ব অনেক বেশি, কাঞ্চন সেটাই বোঝাতে চেয়েছিল।"


তিনি আরও যোগ করেন, "আমরা সবাই সুবিচার চাই। কিন্তু আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি মেনে নেওয়া যায় না। অনেক গরিব মানুষ আছেন যারা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাই কাঞ্চন চেয়েছিল চিকিৎসকরা যেন কাজে ফিরে আসেন।"


শ্রীময়ী সামাজিক মাধ্যমে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "যারা কাঞ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলছেন, তারা নিজেদের দিকে তাকান। অনেককেই দেখেছি সরকারের ভালো সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে। কিন্তু কঠিন সময়ে তারাই আবার পিছন থেকে আঘাত করছে।"


অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া নিয়েও মন্তব্য করেন শ্রীময়ী। তিনি বলেন, "সুদীপ্তাদি যদি সত্যিই কাঞ্চনকে বন্ধু ভাবতেন, একটা ফোন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এ রকম বন্ধু না থাকাই ভালো।"


এই ঘটনাক্রম প্রমাণ করে যে রাজনীতি ও চলচ্চিত্র শিল্পের সংযোগস্থলে উদ্ভূত বিতর্ক কত দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণে রূপ নিতে পারে। একটি সংবেদনশীল বিষয়ে করা মন্তব্যের প্রভাব যে কতদূর প্রসারিত হতে পারে, এই ঘটনা তারও নিদর্শন।

Post a Comment