জাহিন রাজিন: ক্লিনটনের অনুষ্ঠানে ইউনূসের পাশে থাকা বিতর্কিত তরুণের পরিচয়

মাহফুজ-তিথির সঙ্গে মঞ্চে ওঠা নিয়ে বিতর্ক, জাহিনের ব্যাখ্যা এবং মাহফুজের প্রতিক্রিয়া



বিতর্কিত মঞ্চ উপস্থিতি: জাহিন রাজিনের পরিচয় উন্মোচন


নিউইয়র্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দৃশ্যমান এক তরুণকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন, যিনি হাইড্রোকো প্লাস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।


জাহিন রাজিনের দাবি


জাহিন রাজিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি অনুষ্ঠানে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) ফেলো হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, "ড. ইউনূস যখন ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে ডাকলেন, তখন আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। পাশের দুই বিদেশি ভদ্রলোক আমাকে উৎসাহিত করলে আমি মঞ্চে উঠে যাই।"


পটভূমি ও বিতর্ক


জাহিন রাজিন নিজেকে ২০২১ সালের ইউনূস অ্যান্ড ইয়ুথ ফেলো হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকো প্লাসের কাজ নিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছিলেন। 


তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাকে সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেছেন। একটি ছবিতে তাকে প্রাক্তন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা গেছে।


মাহফুজ আলমের প্রতিক্রিয়া


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজ আলম জাহিন রাজিনকে 'অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, "ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ। তিনি নিজ ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজনে যোগ দেন।"


মাহফুজ আলম আরও বলেন, "বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য অসহায় বোধ করছিলাম। মনে হচ্ছে, এটি ছিল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর পূর্বপরিকল্পিত কাজ।"


জাহিন রাজিনের ব্যাখ্যা


জাহিন রাজিন সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে বলেন, "২০২২ সালে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে একটা কাজ করে হাইড্রোকো প্লাস। সে কাজের জন্যই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল।" তিনি দাবি করেন যে তিনি আন্দোলনের সময় দেশেই ছিলেন এবং এ আন্দোলন সমর্থন না করার প্রশ্নই আসে না।


উপসংহার


এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এটি আরও তুলে ধরে যে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য ও ছবি কীভাবে জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে।

Post a Comment