বিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন? সতর্ক হোন, আয়ু কমতে পারে!

গবেষণায় উঠে এলো অবিবাহিত পুরুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য



বিয়ে করা বা না করা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অবিবাহিত পুরুষদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ওয়ারজবার্গের কমপ্রিহেনসিভ হার্ট ফেলিওর সেন্টার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে।


গবেষণার মূল ফলাফল:


১. হৃদরোগের ঝুঁকি: অবিবাহিত পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বিবাহিত পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি।


২. অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা: অবিবাহিত পুরুষদের অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি বিবাহিত পুরুষদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।


৩. সামাজিক সংযোগের প্রভাব: সামাজিক জীবনে কম অংশগ্রহণ এই ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।


৪. রোগ মোকাবিলার সক্ষমতা: জটিল রোগের মোকাবিলায় বিবাহিত পুরুষদের আত্মবিশ্বাস অবিবাহিত পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।


গবেষক দলের একজন চিকিৎসক মন্তব্য করেছেন যে, সামাজিক সংযোগ মানুষের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তিনি আরও জোর দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র জীবনসঙ্গী নয়, দীর্ঘায়ু হতে হলে সামাজিক জীবনের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে, বিয়ে করা বা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় স্বাস্থ্যগত দিকটিও বিবেচনা করা উচিত। তবে, এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য বিয়ে করাই একমাত্র উপায় নয়। সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া - এসব বিষয়গুলিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

Post a Comment