বিয়ের পর মহিলাদের শারীরিক পরিবর্তনের পিছনে লুকিয়ে থাকা অজানা তথ্য
বিবাহ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু এই নতুন জীবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মহিলাই লক্ষ্য করেন তাদের শারীরিক গঠনে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন। বিশেষ করে, ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ ঘটনা যা অনেক নববধূকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। আসুন, এই ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকা কয়েকটি মূল কারণ অনুসন্ধান করি।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
বিয়ের আগে অনেক মহিলাই কঠোর খাদ্যতালিকা মেনে চলেন। কিন্তু বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পর এই নিয়ম-শৃঙ্খলা অনেক ক্ষেত্রেই শিথিল হয়ে পড়ে।
• ফাস্ট ফুড ও তৈলাক্ত খাবারের বর্ধিত সেবন
• সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ
• গৃহস্থালি দায়িত্বের কারণে নিয়মিত ও সুষম আহারে ব্যাঘাত
ব্যক্তিগত সময়ের অভাব
নতুন পারিবারিক জীবনে অভ্যস্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনেক মহিলাই নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করতে পারেন না।
• ব্যায়ামের জন্য সময়াভাব
• নিজের প্রতি যত্নের অভাব
• স্বাস্থ্য সচেতনতার কমতি
বহির্ভোজনের প্রবণতা
নববিবাহিত জীবনে রান্নার দক্ষতার অভাব বা সময়ের স্বল্পতার কারণে অনেকেই বাইরের খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।
• রেস্তোরাঁর খাবারে অতিরিক্ত তেল ও মসলার ব্যবহার
• প্রক্রিয়াজাত খাবারের অধিক গ্রহণ
• ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের অভাব
শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন
• গর্ভধারণ: গর্ভকালীন সময়ে গড়ে ১০-১২ কেজি ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক
• জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে
জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন
• পারিবারিক দায়িত্বের কারণে শারীরিক সক্রিয়তা হ্রাস
• মানসিক চাপের কারণে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
• নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব
সুস্থ জীবনযাপনের পরামর্শ
১. সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
২. নিয়মিত ব্যায়ামের সময় বের করুন
৩. পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা নিন
৪. মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
উপসংহার
বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করা মানেই যে অনিবার্যভাবে ওজন বৃদ্ধি হবে, এমন নয়। সচেতনতা, পরিকল্পনা এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। নতুন জীবনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সজাগ থাকলে, সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন নিশ্চিত করা যায়।
Post a Comment