আলিঙ্গন করলে কে বেশি উপকৃত হয় নারী নাকি পুরুষ?

পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে অধিক অক্সিটোসিন নিঃসরণের প্রমাণ



আধুনিক জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন অনেকেই। সম্প্রতি জার্মান গবেষকরা এক চমকপ্রদ গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, আলিঙ্গনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি উপকৃত হন।


গবেষণার বিস্তারিত


'প্লাস ওয়ান' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি ৭৬টি দম্পতিকে নিয়ে পরিচালিত হয়। গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে, তীব্র মানসিক চাপের পরিস্থিতিতে সঙ্গীর সাথে আলিঙ্গনবদ্ধ হলে নারীদের মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। অন্যদিকে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি তেমন কার্যকর নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।


শারীরবৃত্তীয় কারণ


গবেষণায় দেখা গেছে, আলিঙ্গনের সময় নারীদের শরীরে:

- অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়

- কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়


এই দুটি প্রক্রিয়া একযোগে কাজ করে মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। পক্ষান্তরে, পুরুষদের ক্ষেত্রে কেবল আলিঙ্গনের মাধ্যমে অক্সিটোসিন হরমোনের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে না।


কার্যকর আলিঙ্গনের সময়সীমা


গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে আলিঙ্গনের সময়কাল হওয়া উচিত:

- কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড

- বা তার অধিক সময়


এই সময়কাল ধরে আলিঙ্গন করলে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।


উপসংহার


এই গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয় যে, আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও নারীরা এক্ষেত্রে বেশি উপকৃত হন, তবুও দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ কমাতে এবং সম্পর্ক জোরদার করতে আলিঙ্গনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

Post a Comment