প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মুড়ির প্রভাব: বিশেষজ্ঞদের মতামত
বাঙালির প্রিয় খাবার মুড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকে মনে করেন, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মুড়ির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক বেশি।
১. অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ:
বর্তমান সময়ে অ্যাসিডিটি একটি সাধারণ সমস্যা। অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও ভাজা খাবার এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, অ্যাসিডিটির তীব্রতা বেশি হলে জলে ভিজিয়ে মুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
মুড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। যারা হালকা নাস্তা হিসেবে মুড়ি খান, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, অল্প পরিমাণে ক্ষুধা পেলে মুড়ি খেয়ে পেট ভরানো যায়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ রোধ করে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
মুড়িতে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত মুড়ি খাওয়া রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নয়ন:
মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত মুড়ি খাওয়া বিশেষ উপকারী, কারণ এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, অতিরিক্ত মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রতিদিন এক মুঠো বা দুই মুঠো মুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা মুড়ি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত বলা যায়, সঠিক পরিমাণে ও নিয়মে মুড়ি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা ভিন্ন হওয়ায়, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুড়ি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
Post a Comment