কম সুদর্শন পুরুষের সঙ্গে নারীর সম্পর্কে বেশি সন্তুষ্টি
দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সন্তুষ্টির মূল চাবিকাঠি কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, কম সুদর্শন পুরুষের সঙ্গে নারীরা বেশি সুখী থাকেন।
গবেষণার পদ্ধতি ও ফলাফল
গবেষকরা টেক্সাসে ১১৩টি নবদম্পতির উপর একটি বিস্তৃত সমীক্ষা পরিচালনা করেন। এই সমীক্ষায় দম্পতিদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয়। ফলাফলে দেখা যায়:
১. যেসব ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি সুন্দরী, সেখানে সম্পর্কের স্থায়িত্ব বেশি।
২. কম সুদর্শন স্বামীরা সম্পর্ক বজায় রাখতে অধিক যত্নবান।
৩. এই ধরনের স্বামীরা স্ত্রীকে খুশি রাখতে বেশি সচেষ্ট থাকেন।
সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা
গবেষণায় আরও দেখা যায়, কম আকর্ষণীয় চেহারার স্বামীরা সম্পর্কে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তাঁরা স্ত্রীর সৌন্দর্যের মূল্য বুঝতে পারেন এবং তাঁকে খুশি রাখতে বিশেষভাবে সচেষ্ট থাকেন। এর ফলে:
- স্ত্রীকে নিয়মিত উপহার দেন
- গৃহস্থালির কাজে সহযোগিতা করেন
- নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন
- ভালোবাসা প্রকাশের নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করেন
বিপরীত চিত্র
অন্যদিকে, যখন স্বামী স্ত্রীর চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হন, তখন সম্পর্কে জটিলতা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা যায়:
- স্ত্রী হীনমন্যতায় ভোগেন
- সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে
গবেষক মতামত
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক তানিয়া রেনোল্ডস বলেন, "আমাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, আকর্ষণীয় চেহারার স্বামীর কারণে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে, কম আকর্ষণীয় দেখতে স্বামীরা স্ত্রীকে খুশি রাখতে বেশি আগ্রহী থাকেন।"
এই গবেষণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দাম্পত্য সুখের জন্য বাহ্যিক সৌন্দর্য একমাত্র মাপকাঠি নয়। বরং, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধতাই একটি সুখী সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। তবে এই ফলাফল সাধারণীকরণ করা উচিত নয়, কারণ প্রতিটি সম্পর্কই স্বতন্ত্র ও অনন্য।
Post a Comment