বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত আপেল সেবনে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে ৩০ বছর পার হওয়ার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। এসব স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে বিশেষজ্ঞরা সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আসুন জেনে নেই আপেলের গুণাগুণ:
১. ডায়াবেটিস ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
আপেল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস ও মানসিক চাপের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
২. পুষ্টি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি:
আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা শরীরের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৩. শক্তি বৃদ্ধি:
ব্যায়ামের আগে আপেল খেলে শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ে, যা ক্লান্তি কমিয়ে ব্যায়াম করতে সাহায্য করে।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:
আপেল ধমনীতে প্লাক জমার ঝুঁকি কমায়, যা করোনারি হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ:
আপেলের খোসায় থাকা ফেনোলিক যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ:
নিয়মিত আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ক্যালোরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত খাবার।
৭. হাড়ের স্বাস্থ্য:
আপেলে থাকা ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
৮. মুখের স্বাস্থ্য:
আপেলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খেলে শরীর অনেক রোগমুক্ত থাকে। এটি একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ফল যা আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সহজ। তবে মনে রাখবেন, কেবল আপেল খেলেই সব রোগ সেরে যাবে না। সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি। কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Post a Comment