ঋতুস্রাবকালীন যৌনতা: বিজ্ঞানসম্মত সুফল বনাম সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি

গবেষণা প্রমাণ করে ঋতুকালীন যৌনসম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব, তবে সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ রয়েছে



ঋতুস্রাবকালীন যৌনসম্পর্ক নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন এই সময়ে যৌনমিলন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় এর বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে।


বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, ঋতুকালীন যৌনসম্পর্কের বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে:


১. যন্ত্রণা উপশম: ঋতুস্রাবের সময় অনেক নারী তীব্র পেট ও কোমর ব্যথায় ভোগেন। যৌনসম্পর্কের ফলে শরীরে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, তা এই যন্ত্রণা লাঘবে সাহায্য করে। বিশেষত, অর্গাজমের পর যন্ত্রণার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।


২. পেশী সংকোচন প্রশমন: ঋতুস্রাবকালে অনেক নারী পেশী সংকোচনজনিত সমস্যায় ভোগেন। যৌনক্রিয়া এই অবস্থায় প্রাকৃতিক ঔষধের মতো কাজ করে। যৌনমিলনের পর শরীর ও মন শিথিল হয়ে পড়ে, যা পেশী সংকোচনের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।


৩. মানসিক চাপ হ্রাস: এই সময়ে অনেকেই মানসিক অবসাদ ও চাপের শিকার হন। সঙ্গীর সাথে ঘনিষ্ঠতা এই মানসিক চাপ লাঘবে সহায়তা করে।


৪. ঘুমের মান উন্নয়ন: ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তির কারণে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। যৌনসম্পর্কের ফলে শরীরে যে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, তা ঘুমের মান উন্নয়নে সহায়ক।


তবে, এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশ্বের প্রায় সকল ধর্মীয় মতবাদে ঋতুকালীন যৌনসম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, সামাজিক ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্যও অনেকে এই সময়ে যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকেন।


শেষ পর্যন্ত, এটি একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য ও নিজের শারীরিক-মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা উচিত।

Post a Comment