পরকীয়া: সুখের না দুঃখের? গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে পরকীয়ার প্রবণতা, কিন্তু এর প্রভাব কী? জেনে নিন গবেষকদের মতামত



বর্তমান সমাজে পরকীয়া একটি জটিল ও বহুমাত্রিক বিষয়। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি এই বিষয়ে নতুন আলোকপাত করেছে, যা আমাদের চিরাচরিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।


পেশাগত প্রবণতা:

গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট পেশার মানুষ পরকীয়ায় বেশি জড়িত। এর শীর্ষে রয়েছে সামাজিক কর্মীরা, তারপরে শিল্প ও বিনোদন ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা। শিক্ষা, আইন, মিডিয়া, চিকিৎসা, মার্কেটিং, সাংবাদিকতা, অর্থনীতি ও ব্যবসা ক্ষেত্রের মানুষজনও এই তালিকায় রয়েছে।


ভৌগোলিক প্রবণতা:

থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নরওয়ে, স্পেন, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য - এই দেশগুলিতে পরকীয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। থাইল্যান্ডে প্রায় অর্ধেক বিবাহিত ব্যক্তি পরকীয়ায় জড়িত বলে জানা গেছে।


সম্পর্কের স্থায়িত্ব:

মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যালিসিয়া ওয়াকারের ৮ বছরের গবেষণায় দেখা গেছে:

- ৫০% এর বেশি পরকীয়া সম্পর্ক ১ মাস থেকে ১ বছর স্থায়ী হয়

- ৩০% সম্পর্ক ২ বছর বা তার বেশি টেকে

- মাত্র ৫% এর কম ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক বিয়েতে পরিণত হয়


পরকীয়ার কারণ ও প্রভাব:

- সন্তানসহ দম্পতিদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা বেশি

- ৫০% এর বেশি ব্যক্তি ব্যক্তিগত জীবনে অসন্তুষ্টির কারণে পরকীয়ায় জড়ান

- পরকীয়া কখনও কখনও পারিবারিক জীবনে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে

- অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়ার ফলে পারিবারিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে


এই গবেষণাগুলি পরকীয়ার জটিল প্রকৃতি তুলে ধরেছে। যদিও এর নৈতিক দিক নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়, তবে এর সামাজিক ও মনোবৈজ্ঞানিক প্রভাব আরও গভীর অনুসন্ধানের দাবি রাখে। পরকীয়ার বিষয়টি যতটা সরল মনে হয়, বাস্তবে তা ততটাই জটিল - এই গবেষণাগুলি সেই সত্যটিই তুলে ধরেছে।

Post a Comment