পান্তা ভাত: এই মৌসুমে স্বাস্থ্যের অমূল্য খাজানা

পুষ্টিবিদদের মতে, পান্তা ভাত খাওয়ার দশটি অজানা উপকারিতা



বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম খাদ্য পান্তা ভাত গ্রীষ্মকালে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু এই সাধারণ খাবারের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।


পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, পান্তা ভাত ওজন বৃদ্ধি করে - এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং, গরমের সময় পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাসে লুকিয়ে আছে নানাবিধ স্বাস্থ্য সুবিধা।


প্রথমত, পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ ২১ গুণ বৃদ্ধি পায়, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক। দ্বিতীয়ত, ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


তৃতীয়ত, এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। চতুর্থত, গরম ভাতের তুলনায় পান্তা ভাতে ফ্যাটের পরিমাণ ৬ গুণ কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।


পঞ্চমত, পান্তা ভাত শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ষষ্ঠত, নিয়মিত পান্তা খেলে সকল প্রকার আলসার উপশম হয়। সপ্তমত, এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।


অষ্টমত, সকালে পান্তা খেলে সারাদিনের কর্মক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। নবমত, পান্তা ভাত নিদ্রাহীনতা দূর করতে সাহায্য করে। দশমত, নিয়মিত পান্তা খেলে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে, যা ত্বকের যৌবন ধরে রাখে।


বাংলাদেশে পান্তা ভাত সাধারণত সরিষার তেল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, লবণ ও ভাজা মাছের সাথে খাওয়া হয়। পহেলা বৈশাখে জাতীয় মাছ ইলিশের সাথে পান্তা খাওয়া একটি প্রচলিত ঐতিহ্য।


উল্লেখ্য, শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভিয়েতনাম, ওড়িশা ও তামিলনাড়ুতেও পান্তা ভাত জনপ্রিয় খাদ্য। 


গ্রীষ্মের এই মৌসুমে, পান্তা ভাতের এই অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি জেনে নিয়ে, আপনিও নিয়মিত পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

Post a Comment