চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার পর নেটদুনিয়ায় কুৎসিত আক্রমণের শিকার টলিউড তারকা
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সমগ্র ভারত উত্তাল। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা, যাঁদের মধ্যে অন্যতম টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, তাঁর এই প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য তিনি নিজেই এখন অশালীন হুমকির শিকার হয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ:
• আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে সক্রিয় ছিলেন মিমি চক্রবর্তী।
• এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেন, যা পরিবার প্রত্যাখ্যান করে।
• সেই প্রসঙ্গ টেনে এক নেটনাগরিক মিমিকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করেন।
কুৎসিত হুমকি:
সামাজিক মাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, "আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।" এই পোস্টে অসংখ্য অশ্লীল ভাষাও ব্যবহার করা হয়েছে।
মিমির প্রতিক্রিয়া:
অভিনেত্রী নিজেই এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তিনি কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করে লিখেছেন, "আমরা কী এই কারণেই লড়ছি? আমরা একজন নারীর জন্য বিচার চাইছি তাই না? ধর্ষণের হুমকি দেয়াটা যেন পানিভাত করে ফেলেছে এরা। তারাই আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে বলছেন, মেয়েদের পাশে রয়েছেন! এটা কোন ধরনের শিক্ষা।"
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও নারীরা নিজেরাই কখনো কখনো হুমকি ও হয়রানির শিকার হন। এটি সমাজের একটি গভীর সমস্যার দিকে আঙুল তুলে ধরে, যেখানে নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, মিমি চক্রবর্তী শুধু টলিউডেই নন, ঢাকাই সিনেমাতেও সুপরিচিত। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত 'তুফান' সিনেমায় মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সমাজের সচেতন অংশ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির কাছে প্রত্যাশা, তারা এই ধরনের ঘটনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Post a Comment