ক্রীড়াঙ্গনে নবনিযুক্ত মন্ত্রী আসিফ মাহমুদের কাছে সংস্কারের প্রত্যাশা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে সাফল্য, এখন ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিবর্তনের আশা



অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। এই নিয়োগে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক সংস্কারের প্রত্যাশা জেগেছে বিভিন্ন মহলে।



জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা বলেন, "তাদের আন্দোলনে দেশে বিশাল একটি পরিবর্তন এসেছে। যুব সমাজই পারে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে। সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্রীড়াঙ্গন বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নে প্রয়োজন সংস্কার।"



ডানা আরও জোর দিয়ে বলেন, "ক্রীড়াঙ্গন ক্রীড়াবিদদের জায়গা। সেখানে রাজনীতি অঙ্গনের মানুষ নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গনই আমাদের প্রত্যাশা। আসিফ দেশের বড় সংস্কার আন্দোলন করেছে, তার কাছে আশা ক্রীড়াঙ্গনের রাজনৈতিক সংস্কার।"


কিংবদন্তি ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম ফেডারেশন ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "অনেকেই নিজেদের চেয়ার আকড়ে ধরে আছেন। খেলা পিছিয়ে গেলেও তারা বহাল তবিয়তে আছেন। এগুলো সংস্কারের আওতায় আসা উচিত।"


শেখ আসলাম আরও বলেন, "দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। সেই ফুটবলে নেই সাফল্য, আবার নানা ঘটনায় বিতর্কিত। অথচ তাদের প্রকৃত কোনো জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতা ছাড়া স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা আসবে না।"


সদ্য সাবেক সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা নতুন মন্ত্রীর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়ন সময়সাপেক্ষ বিষয়। আশা করব তিনি নীতিমালা-কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে সুন্দর নির্দেশনা দিতে পারবেন। যুবক সমাজ ক্রীড়াঙ্গন অনুরাগী। আশা করছি তিনিও ক্রীড়ামোদী।"


সামগ্রিকভাবে, ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা নবনিযুক্ত মন্ত্রী আসিফ মাহমুদের কাছে ব্যাপক সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন। তাঁরা আশা করছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দেওয়া আসিফ মাহমুদ ক্রীড়াক্ষেত্রেও অনুরূপ সাফল্য অর্জন করবেন।

Post a Comment