খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ: অভিনেতা জয়ের আত্মপক্ষ সমর্থন

"ঘটনার দিন আমি নেপালে ছিলাম" - দাবি করলেন শাহরিয়ার নাজিম জয়



খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নিজের নাম থাকায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।


মামলার বিবরণ


২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম এই মামলা দায়ের করেন।


অভিযোগের বিবরণ


মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালায়। এই হামলায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়।


জয়ের প্রতিক্রিয়া


অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আমি মামলার এজাহার পড়েছি, যেখানে লেখা আছে- ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছি, তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছি। এই অভিযোগে আমি অত্যন্ত মর্মাহত।"


জয়ের আত্মপক্ষ সমর্থন


অভিনেতা জয় দাবি করেছেন যে ঘটনার দিন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি বলেন, "আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে, মামলায় উল্লেখিত ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম। আমার পাসপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। সেদিন সকাল ১১টার ফ্লাইটে নেপালে যাই।"


তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সেই সময় নেপালে একটি বড় ভূমিকম্প হয়, যেখানে তিনি ও অন্যান্য বাংলাদেশি তারকারা আটকে পড়েন। তিনি ২৬ এপ্রিল দেশে ফিরে আসেন বলে জানান।


রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে


জয় জোর দিয়ে বলেন, "আমার আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পদ পদবীও নেই। অভিনয়ের পরিমাণ কমে আসার পর খুব সংগ্রাম করেই উপস্থাপনা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছি।"


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সকলের দৃষ্টি।

Post a Comment