বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে
বিশ্বব্যাপী সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে ১.৫ শতাংশ বেশি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার একটি প্রধান কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন ও মেদবহুলতা পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান এবং মাদকাসক্তিও সন্তান উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাঁরা আরও সতর্ক করেছেন যে, শারীরিক আঘাত, কিছু ওষুধের ব্যবহার এবং দীর্ঘক্ষণ কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করাও শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা যেসব খাবার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন:
১. প্রসেসড মিট: বেকন, সালামি, হটডগ, বার্গার ইত্যাদি খাবারে ব্যবহৃত প্রসেসড মিট শুক্রাণুর পরিমাণ কমাতে পারে।
২. লাল মাংস: গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মাংস বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। তবে মুরগির মাংসের ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৩. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: গবাদি পশুদের দেওয়া স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রভাব দুধে থাকতে পারে, যা শুক্রাণুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড: এই ক্ষতিকর ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৫. রাসায়নিক দ্রব্য: অনেক খাবারে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অবলম্বন করা উচিত। তাঁরা আরও বলেছেন, যদি কোনো দম্পতি সন্তান ধারণে সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Post a Comment