ওপেনারদের নোঙর হয়ে থাকা, স্পিনারদের খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ - প্রথম ওয়ানডেতে দেখা গেল পুরনো আমলের ক্রিকেটের ছোঁয়া
কলম্বোর আর. প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে গতকাল অনুষ্ঠিত ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি যেন দর্শকদের সময়ের পেছনে নিয়ে গেল। ৯০-এর দশক এবং ২০০০-এর শুরুর দিকের ক্রিকেটের স্মৃতি জাগিয়ে তুলল এই ম্যাচ।
ম্যাচের শুরু থেকেই দেখা গেল পুরনো আমলের ক্রিকেটের ছাপ। শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিসানকা প্রথম দশ ওভারে পাঁচটি চौকা মারলেন, কিন্তু তারপর ফিল্ড ছড়িয়ে দেওয়া হলে রান করার গতি কমিয়ে দিলেন। তিনি ৭৫ বলে ৫৬ রান করলেন, যা আধুনিক ক্রিকেটের মানদণ্ডে অস্বাভাবিক।
শ্রীলঙ্কার অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ইনিংসও ছিল ধীরগতির। কুসল মেন্ডিস ৩১ বলে ১৪ রান, চরিথ অসালাঙ্কা ২১ বলে ১৪ রান এবং ষষ্ঠ নম্বরের ব্যাটসম্যান জানিথ লিয়ানাগে ২৬ বলে ২০ রান করলেন। বর্তমান সময়ের মানদণ্ডে এগুলো "যন্ত্রণাদায়ক" ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা গেল পুরনো ধাঁচের ছবি। মাত্র ২০ ওভার পেস বোলিং করা হল, বাকি ৩০ ওভার স্পিন বোলিং। এমনকি শুভমান গিলও একটি ওভার অফ স্পিন করলেন।
ভারতের ব্যাটিংয়েও দেখা গেল দুই ধরনের ইনিংস। রোহিত শর্মা আক্রমণাত্মক ইনিংস খেললেন, অন্যদিকে শুভমান গিল প্রথম দশ ওভারে ২৫ বলে ১৩ রান করলেন।
ম্যাচের শেষদিকে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দিলেন। চরিথ অসালাঙ্কা ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অসাধারণ বোলিং করলেন।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অর্শদীপ সিং-এর একটি "কৃষক শ্রেণির" শট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করল, যা আবারও মনে করিয়ে দিল পুরনো আমলের ক্রিকেটের কথা।
যদিও এই ধরনের ওয়ানডে ক্রিকেট ক্রমশ বিলুপ্তির পথে, তবুও এই ম্যাচটি দর্শকদের একটি নস্টালজিক অনুভূতি দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ম্যাচ আরও কমই দেখা যাবে, কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন ক্লাসিক ম্যাচ উপভোগ করাও আনন্দদায়ক।
Post a Comment