অতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার বিপদ: বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব ও স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা

প্রতিদিন আমাদের খাদ্যতালিকায় ব্রয়লার মুরগির উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে নাগেটস - নানা রকমের স্বাদুপুষ্ট খাবার এখন ঘরে বসেই তৈরি করা যায়। কিন্তু এই সুস্বাদু খাবারের পেছনে লুকিয়ে আছে এক বড় বিপদ, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।


বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. অরিন্দম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, পোল্ট্রি খামারে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে, ভবিষ্যতে গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।


সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল


লন্ডনের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী:


- দক্ষিণ এশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে পোল্ট্রি খামারে কোলিস্টিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

- বাজারে বিক্রিত অধিকাংশ প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিনের উপস্থিতি রয়েছে।

- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অমান্য করে এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে।


সমাধানের পথ


বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন:


১. পোল্ট্রি খামারে কোলিস্টিনের অবাধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

২. ব্রয়লার মুরগির ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে।

৩. মুরগি খাওয়া একেবারে এড়ানো সম্ভব না হলে, ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত।


এই সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ও পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে পারি। পাশাপাশি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত পোল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

Post a Comment