বর্ষায় মশকবাহিত রোগ প্রতিরোধে সহজ ঘরোয়া উপায়

ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে রাসায়নিক প্রতিষেধকের বিকল্প সমাধান



বর্ষাকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে মশা-মাছির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়, যা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অধিকাংশ মানুষ মশারি ব্যবহার করলেও দিনের বেলায় মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।


বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত মশা নিধনের উপায়গুলি যেমন কয়েল, ধূপ বা রাসায়নিক স্প্রে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কিছু প্রাকৃতিক ও নিরাপদ বিকল্প সমাধান রয়েছে:


১. পিপারমেন্ট অয়েল: এই এসেনশিয়াল অয়েল নারকেল বা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করা যায়। এর সুগন্ধ মশা তাড়াতে সাহায্য করে।


২. লেমন ইউক্যালিপটাস: এটি অনেক বাণিজ্যিক মশা তাড়ানো স্প্রে'র মূল উপাদান। দৈনন্দিন ব্যবহারে এটি দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান করে।


৩. কর্পূর: ঘরের বিভিন্ন কোণে কর্পূর রাখা যেতে পারে। এটি একটি সহজলভ্য ও কার্যকরী প্রতিষেধক।


৪. পর্যাপ্ত বায়ু সঞ্চালন: ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখলে মশার উপস্থিতি কমানো যায়। জোরালো বাতাসে মশার উড়ে বেড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।


৫. পানি জমা রোধ: বাড়ির আশপাশে জমা পানি মশার প্রজননের অন্যতম কারণ। ছাদ, বারান্দা, বাগান এবং বাথরুমে জমা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।


বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সহজ পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে মশকবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. শামীমা নাসরিন বলেন, "শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সতর্কতাই নয়, সামাজিক সচেতনতাও প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের এবং প্রতিবেশীদের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি মশার প্রজনন রোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।"

Post a Comment