প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন, ফিরে পান সুস্থ জীবন
সংবাদ:
দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই সকালে পেট পরিষ্কার না হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। দীর্ঘক্ষণ শৌচাগারে অপেক্ষা করেও অনেক সময় এই সমস্যার সমাধান মেলে না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেটফাঁপার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে উৎসবের সময়ে, যখন তৈলাক্ত খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে শুধু পেট পরিষ্কার হয় না তা-ই নয়, এর সাথে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও যুক্ত হয়। এর ফলে খাদ্যের প্রতি রুচি কমে যায়।
তবে কয়েকটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি:
ডুমুরের শক্তি:
ডুমুর কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসনে অত্যন্ত কার্যকরী। হালকা গরম জলে ডুমুর ভিজিয়ে খেলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। চিকিৎসকরাও প্রায়শই এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
যষ্টিমধুর গুণ:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যষ্টিমধুকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সেরা উপায় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি হজমশক্তিও বাড়ায়। এক কাপ জলে অর্ধ চা-চামচ যষ্টিমধু ও সামান্য গুড় মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
জলের গুরুত্ব:
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করলে বা অতিরিক্ত ঘর্মাক্ত হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি।
কলার উপকারিতা:
কলায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলায় থাকা পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
ঘি-দুধের যুগলবন্দি:
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ গরম দুধের সাথে দুই চা-চামচ ঘি মিশিয়ে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমতে পারে।
পরিশেষে, দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই সহজ পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং সুস্থ পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে পারেন।
Post a Comment