সামাজিক মাধ্যমে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের; অন্যদের প্রতিবাদের আহ্বান
কলকাতা: সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের ওপর সংঘটিত নৃশংস অপরাধের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ধর্ষণের হুমকির শিকার হচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এই পরিস্থিতিতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তিনি অপরাধ দমন শাখার সহায়তায় হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানান।
মিমি লিখেছেন, "ইতোমধ্যেই অপরাধ দমন শাখার হস্তক্ষেপে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল দুই অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। যদিও তারা সমস্ত মন্তব্য মুছে সামাজিক মাধ্যম থেকে উধাও হয়ে গেছে।"
হুমকির সূত্রপাত
গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের দাবিতে সরব হন মিমি চক্রবর্তী। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর, এক নেটিজেন সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, "এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটলে কী হত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিত নাকি? তা হলে মিমি আমার ঘরে এলে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেব।"
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মিমি লিখেছিলেন, "আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?"
সমাজের প্রতি আহ্বান
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিমি চক্রবর্তী অন্যান্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যারা এই ধরনের হুমকির শিকার হচ্ছেন। তিনি তাদের একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। অনেক অনুরাগী তার পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সামাজিক মাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসা ও হুমকি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের এই ধরনের পদক্ষেপ অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
Post a Comment