ছাত্র আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা: অভিনেত্রী বাঁধনের প্রাণনাশের হুমকি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অবিচল থেকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন বাঁধন



বিগত বছরের কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তিনি প্রাণনাশের হুমকি এবং অ্যাসিড আক্রমণের ভয় দেখানোর শিকার হয়েছিলেন।


"আমি যেদিন থেকে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে মাঠে নামি, ওই দিন থেকেই আমাকে ফোনে, এসএমএসে, ফেসবুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। অ্যাসিডও মারতে চেয়েছিল তারা।" বাঁধন বলেন। তবে তিনি এসব হুমকিতে ভীত হননি, বরং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তা থেকে সাহস সঞ্চয় করেছেন বলে জানান।


কোটা সংস্কার আন্দোলন: বাঁধনের অবস্থান

আন্দোলনের সময় বাঁধনকে ফার্মগেট, শাহবাগ ও শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি শুধু উপস্থিতি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, বরং বক্তৃতা দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দীপিত করেছেন। একটি সমাবেশে তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, "আজ ওখানে আমার সন্তানও থাকতে পারতো। এভাবে শান্তিতে থাকা যায় না। এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা সকলে এর বিচার চাই। আমরা রাষ্ট্রের বিচার চাই।"


বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাঁধন একটি নারীবান্ধব, বৈষম্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, "সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আইনের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করতে হবে। এ সরকারের কাছে চাওয়া একটা, গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র যেন পাই। যে দেশে সবাই হবে বাংলাদেশি। সব ধর্মের মানুষগুলোই সমানভাবে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে।"

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আশাবাদী বাঁধন। তিনি মনে করেন, এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা সৎ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার করতে সক্ষম হবেন। বিশেষ করে দুজন ছাত্র প্রতিনিধির উপস্থিতি তাঁকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে।


পরিশেষে, আজমেরী হক বাঁধন একটি এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, যেখানে থাকবে না কোনো দুর্নীতি, থাকবে সুশাসন, স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার। তাঁর এই সাহসী অবস্থান ও স্বপ্ন দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।

Post a Comment