বলিউডের প্রাক্তন তারকার নতুন রূপ নিয়ে নেটিজেনদের বিস্ময় ও ক্ষোভ
বলিউডের একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়ার সাম্প্রতিক চেহারার পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তাঁর মুখমণ্ডলে আনা পরিবর্তন অনেক ভক্তকেই হতাশ করেছে, যা শেষ পর্যন্ত অভিনেত্রীকে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।
চেহারার পরিবর্তন ও প্রতিক্রিয়া
২০১৭ সাল থেকে আয়েশা টাকিয়ার চেহারায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে তাঁর ঠোঁটের আকৃতিতে আনা পরিবর্তন অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সম্প্রতি তিনি নিজের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার পর এই বিতর্ক চরমে ওঠে।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
অনেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন যে তাঁরা আয়েশাকে চিনতেই পারছেন না। একজন লিখেছেন, "একটি সুন্দর মুখ প্লাস্টিক দিয়ে ধ্বংস করার পর।" অন্য একজন উল্লেখ করেছেন, "আমি প্রথমে চিনতেই পারিনি।" কেউ কেউ এমনকি তাঁকে অন্য সেলিব্রিটিদের সাথে তুলনা করেছেন, যেমন "উনি নিজেকে কাইলি জেনার মনে করছেন।"
অভিনেত্রীর প্রতিক্রিয়া
এই ধরনের মন্তব্যের ফলে আয়েশা টাকিয়া শেষ পর্যন্ত তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। এটি প্রমাণ করে যে সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক মন্তব্যগুলি তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
আয়েশার কর্মজীবন
'সোচা না থা' ছবিতে অভয় দেওলের বিপরীতে আয়েশার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। 'ডোর' এবং সালমান খানের সঙ্গে 'ওয়ান্টেড' ছবিতেও তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে, পরবর্তীতে তিনি বলিউড থেকে ধীরে ধীরে সরে যান।
সামাজিক প্রভাব
এই ঘটনা সেলিব্রিটিদের উপর সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব এবং শারীরিক সৌন্দর্যের মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনেকে মনে করছেন, সমাজের চাপে অনেক তারকাই নিজেদের পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিশেষে, আয়েশা টাকিয়ার এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলি কীভাবে জনসাধারণের তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে পারে। এটি আমাদের সকলকে সামাজিক মাধ্যমে আরও সহানুভূতিশীল ও সম্মানজনক আচরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে।
Post a Comment