আশ্চর্যজনক তথ্যে ভরপুর মহান চীনা প্রাচীর
চীনের মহান প্রাচীর - কী একটা অনন্য স্থাপনা! কিন্তু এই প্রাচীরের সম্পর্কে আমরা কতটা জানি প্রকৃতপক্ষে? এখানে কিছু কম পরিচিত তথ্য যা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
একাধিক প্রাচীরের সমন্বয়:
'মহান প্রাচীর' বলতে যা বোঝায়, প্রকৃতপক্ষে চীনের মহান প্রাচীর একাধিক প্রাচীরের সমষ্টি। বিভিন্ন চীনা রাজবংশ কর্তৃক পৃথক-পৃথক নির্মিত এই প্রাচীরগুলো একত্রিত হয়ে এই মহাকাব্যিক স্থাপনাটিকে গড়ে তুলেছে।
২০০০ বছরেরও বেশি সময়ে নির্মিত:
হ্যাঁ, সব রাজবংশের কাজ মিলিয়ে এই প্রাচীরটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ২০০০ বছরের অধিক সময়ে। প্রথম অংশগুলি নির্মাণ শুরু হয় ইং.পূ. ৭৭১ সালে, যার কিছু অংশ পরে ইংপূ. ২২১ সালে প্রথম চীনা সম্রাট শ্রী চিং দ্বারা ধ্বংস ও পুনর্নির্মিত হয়। পরবর্তী যুগে অন্যান্য রাজবংশগুলি এটিকে আরও বিস্তৃত ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন, যার ফলে মঙ্গল রাজবংশের সময় (মধ্য-২য় শতাব্দী) এটি অতীব প্রাচীন রূপ ধারণ করে।
লেপনে কলাই-ধান - একটি রহস্যময় উপাদান:
এ্যোহ্, এটা যে আরও চীনা হয়ে গেল! প্রাচীরটি প্রধানত শিলা, ইট ও কাঠের ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিত হলেও, এর রহস্যময় উপাদান হলো - কলাই-ধান! ইংপূ. ২২১ সালে শ্রী চিং বংশ এই কলাই-ধানের বিশেষ গুণাবলি ব্যবহার করে মিশ্রিত মাটি তৈরি করেছিল। এই কী আশ্চর্যজনক তথ্য!
Post a Comment