গবেষণা থেকে উঠে আসা চাঞ্চল্যকর তথ্য: নারীদের মধ্যে পরকীয়ার হার বেশি
বার্নার্ড শ'র বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শুরু করা যাক, "প্রেম একটি জ্বলন্ত সিগারেট, যার শুরুতে আগুন এবং শেষে পরিণতি ছাই।" প্রেমের এই জটিল স্বরূপ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে।
বিখ্যাত লেখক ওয়েডসডে মার্টিনের দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা থেকে জানা গেছে, সমাজের ধারণার বিপরীতে, নির্দিষ্ট বয়সের পর নারীদের যৌন চাহিদা কমে না। বরং, পুরুষদের তুলনায় নারীরা যৌন জীবনে অধিক বৈচিত্র্য খোঁজেন।
'গ্লিডেন' নামক একটি বিবাহ বহির্ভূত অ্যাপের সমীক্ষায় এই তথ্য আরও স্পষ্ট হয়েছে। ৩০-৬০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে:
- প্রায় ৪৮% নারী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত
- এই ৪৮%-এর একটি বড় অংশ এক সন্তানের মা
- পরকীয়ায় জড়িত নারীদের ৫২%-এর নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে
শরীরচর্চা ও পরকীয়া: সম্পর্কের রহস্য
গবেষণা থেকে জানা যায়, শরীরচর্চা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও সতেজ রাখে। ফলে যৌন জীবন ও প্রেমকে আরও আনন্দময় ও উত্তেজনাপূর্ণ করার প্রবণতা এই ধরনের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
পরকীয়ার অন্যান্য কারণ
যারা নিয়মিত শরীরচর্চার সাথে যুক্ত নন, তাদের ক্ষেত্রে পরকীয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে:
- পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের প্রতি অসহযোগিতা
- কাছের মানুষের কাছ থেকে অসন্তোষ
- সম্মান না পাওয়া
- একাকিত্ব
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য সমাজের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। তবে এটি স্পষ্ট যে, পরকীয়ার পিছনে রয়েছে জটিল মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক কারণ। এই বিষয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান ও সামাজিক সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে।
Post a Comment