রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগে চার তারকা, কার জন্য খালি হবে জায়গা?
রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো কিলিয়ান এমবাপ্পের যোগদানের মধ্য দিয়ে। ফরাসি তারকার আগমন যেমন স্বস্তি এনেছে, তেমনি জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এমবাপ্পের কারণে কি ক্লাব ছাড়তে হবে রদ্রিগোকে?
গত মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগে তিন মূল অস্ত্র ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো ও জুড বেলিংহাম। এই ত্রয়ী ক্লাবকে এনে দিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কিন্তু এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এমবাপ্পে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন - কার জায়গায় খেলবেন তিনি?
উয়েফা সুপার কাপে এমবাপ্পেকে নিয়ে কোচ কার্লো আনচেলত্তির কৌশল ছিল চমকপ্রদ। প্রথমে বেঞ্চে রাখার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন শুরুর একাদশে। ফলে আক্রমণভাগে একসঙ্গে খেলেছেন চার তারকাই। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রিয়াল পেয়েছে সাফল্য, যার মধ্যে এমবাপ্পের প্রথম গোলেও ছিল সবার অবদান।
তবে এই সাফল্য সত্ত্বেও থামছে না জল্পনা। বিশেষ করে রদ্রিগোর ভবিষ্যৎ নিয়ে। চলতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে তার ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। হুলিয়ান আলভারেজের প্রস্থানের পর সিটির আক্রমণভাগে শূন্যতা পূরণে রদ্রিগো হতে পারেন সম্ভাব্য সমাধান।
যদিও রদ্রিগোর প্রতিনিধি এই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, "রদ্রিগো ক্লাব ছাড়তে আগ্রহী নন। তিনি রিয়ালের হয়ে আরও শিরোপা জয় করতে চান। ম্যানচেস্টার সিটি বা অন্য কোনো ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছা তার নেই।"
অন্যদিকে, সাবেক ফুটবলার ও পরিচালক প্রিদাগ মিয়াতোভিচ মনে করেন, রিয়ালের কোনো বড় নামকে ক্লাব ছাড়তে হতে পারে। তিনি বলেন, "গত কয়েক বছরে রিয়াল বড় নামের খেলোয়াড় বিক্রি করেছে। এ গ্রীষ্মেও তেমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর।"
মিয়াতোভিচ আরও জোর দিয়ে বলেন, "আগামী বছর অবশ্যই বড় ধরনের বিক্রি দেখা যাবে। সম্ভবত কিছু খেলোয়াড় এবারই রিয়ালে তাদের শেষ মৌসুম অতিবাহিত করছেন।"
এমবাপ্পের আগমনে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনি তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে এই সমীকরণের ফলাফল কী দাঁড়ায় এবং কোন তারকাকে হয়তো ছাড়তে হয় বর্নাবেউ।
Post a Comment