পাঁচ প্রকার ফলের নিয়মিত সেবনে কমবে চুল পড়া, বাড়বে নতুন চুল গজানোর হার
চুল পড়া আজকাল একটি সর্বজনীন সমস্যা। এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সতর্ক হওয়া এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, সঠিক পরিচর্যার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন অপরিহার্য।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার এবং ভাজাপোড়া চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। পরিবর্তে, বিশেষজ্ঞরা সুষম আহারের উপর জোর দিচ্ছেন, যার মধ্যে ফলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নিম্নলিখিত পাঁচ প্রকার ফল নিয়মিত খাওয়ার ফলে চুল পড়া কমবে এবং নতুন চুল গজানোর হার বৃদ্ধি পাবে:
১. সাইট্রাস ফল: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলগুলি, যেমন কমলা, লেবু ও গ্রেপফ্রুট, নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
২. বেরিজাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও র্যাসপবেরির মতো বেরিজাতীয় ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কেশমূলের ছিদ্রগুলি উন্মুক্ত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৩. অ্যাভোকাডো: এই পুষ্টিসমৃদ্ধ ফলটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, কেশমূল শক্তিশালী করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
৪. কলা: পটাসিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও বিভিন্ন ভিটামিনে সমৃদ্ধ কলা শুধু নতুন চুল গজাতেই সাহায্য করে না, চুলের গঠন ও কেশমূলকেও শক্তিশালী করে।
৫. পাকা পেঁপে: এটি শুধু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না, চুল পড়ার হারও কমায়। পেঁপেতে থাকা ভিটামিন এ, ই ও সি সামগ্রিকভাবে চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
বিশেষজ্ঞরা এই ফলগুলি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে মনে রাখতে হবে, শুধু ফল খেলেই চুলের সমস্যা দূর হবে না। এর সঙ্গে সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। চুলের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Post a Comment